ফেসবুকের কল্যাণে হা’রিয়ে যাওয়া বাক প্র’তিব’ন্ধী বাবাকে ফিরে পেলেন ছেলে

প্রায় সাড়ে ৮ মাস আগে হারিয়ে গিয়েছিল বাক প্র’তিব’ন্ধী বাবা। হা’রা’নো বাবাকে খুঁ’জতে বহু জায়াগায় ঘুরেছেন তার ছেলে। কিন্তু কোথাও খুঁ’জে পাননি বাবাকে। পরে ফেইসবুক ভিত্তিক গ্রুপ শেরপুর ৩৬০ ডিগ্রি’র কল্যাণে ছেলেরা সেই বাবার খোঁজে পেলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় সেই বাক প্রতিবন্ধী বাবা শুক্কুর আলীকে (৫২) তার ছেলে সাকিবের (১৮) কাছে হস্তান্তর করে‌ছেন শেরপুর সদর থানার ও‌সি আব্দুল্লাহ আল মামুন।

শুক্কুর আলীর বাড়ি টাঙাইল জেলার ভুয়াপুর থানার মাহাদীপুর এলাকায়। হা’রিয়ে যাওয়া বাক প্র’তিব’ন্ধী বাবাকে নিয়ে বাড়ি ফেরায় সাকিবদের বাড়িসহ এলাকায় খুশির বন্যা বইছে। শুক্কুর আলী ওই এলাকার মৃ”ত ময়েজ মন্ডলের সন্তান। সা‌কিব ব‌লেন, বাবা একদিন হঠাৎ করেই বাড়ি থেকে হারিয়ে যান।

অনেক খোঁজার পরও ওনাকে পাওয়া না গেলে আমরা আশা হারিয়ে ফেলি। কারণ উনি বাক প্র’তিব’ন্ধী ছিলেন। দীর্ঘ ৮ মাস পর হঠাৎ করে শেরপুর ৩৬০ ডি‌গ্রি ফেইসবুক পেইজে বাবার ছবি দেখি। এরপর সাথে সাথে সদর থানার ওসি মামুন ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করলে উনি আমাদের জানান যে বাবা বর্তমানে থানা হেফাজতে আছে।

এ কথা নিশ্চিত হওয়ার পর আমরা শেরপুর সদর থানায় এসে বাবাকে পাই। এত মাস পর বাবাকে ফিরে পেয়ে প্রথমে বিশ্বাস করতে পারি নাই। আনন্দে চোঁখে পানি এসে গিয়েছিল। এজন্য সবটুকু কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি শেরপুর সদর থানার ওসি মামুন ভাই ও শেরপুর ৩৬০ ডি‌গ্রি ফেইজবুক গ্রুপ কর্তৃপক্ষের প্রতি।

জেলা ছাত্রলীগের তথ্য ও গ‌বেষণা বিষয়ক সম্পাদক রুবেল বলেন, লোকটিকে পরিবারের কাছে তুলে দিতে পেরে খুব খুশি লাগছে। একজন হা’রা’নো বাবাকে পেয়ে সন্তানের মুখে কি যে আনন্দ, তা আজ নিজ চোখে দেখলাম। শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, গত ১১ মার্চ তারিখ ভো’রে কয়েকজন ছেলে এই বৃ’দ্ধকে থানায় নিয়ে আসে।

সমস্যা হলো সে কথা বলতে পারে না। তার ইশারা কিছুই বোঝা যাচ্ছিলোনা। অনেক চেষ্টা করেও কিছুই বুজতে পারিনি। এরপর রুবেল নামে এক যুবক ওনার ছবি শেরপুর ৩৬০ ডি‌গ্রি ফেইসবুক গ্রুপে পোষ্ট করে। সেই পোষ্ট দেখে বিকেলে লোকের আত্মীয় স্বজন আমাকে ফোন করে বিষয়টি নিশ্চিত করে। পরে তারা রাতে থানায় হাজির হলে, তাকে তার আত্মীয় স্বজন ও ছেলে সাকিবের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এসময় শুক্কুর আলীর কাছে থাকা নগদ ৮হাজার ৭শ ৫০ টাকা তার ছেলে সাকিবের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।